Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মানসম্পন্ন বীজের জন্য বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা অপরিহার্য

মানসম্পন্ন বীজের জন্য বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা অপরিহার্য
ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ
বীজ হলো কৃষির মৌলিক উপকরণ ফসল উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নতি ও বাংলাদেশের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বীজ। উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সময়মতো বীজের প্রাপ্যতা কৃষক সম্প্রদায়ের কাছে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে মানসম্পন্ন বীজ প্রয়োজন। মানসম্পন্ন বীজের দক্ষ ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে সার এবং সেচের মতো উপকরণ, যাতে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা শুধুমাত্র উচ্চফলন পেতে, উচ্চ আর্থিক রিটার্ন পেতে ও গুণমান বৃদ্ধি করে ২৫% উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। অন্যান্য ইনপুটগুলোর সাথে মিলিতভাবে ফলনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। গুণগত বীজ সাধারণভাবে শারীরবৃত্তীয় গুণমান এবং আগাছা বীজের উপস্থিতি, বীজবাহিত রোগ এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যতিরেকে জেনেটিকভাবে প্রভাবিত হয়ে বিশুদ্ধ বীজ উৎপাদিত হয়। জেনেটিক বিশুদ্ধতাসম্পন্ন বীজ হলো  অন্য জাত বা প্রজাতির জেনেটিক উপকরণ দ্বারা দূষণ শতাংশ। জিনগত বিশুদ্ধতা হলো উদ্ভিদ প্রজনন এবং বীজ উৎপাদনকারীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, যা টাইপের সত্যতা বা অবাঞ্ছিত জেনেটিক জাত বা প্রজাতির দ্বারা সৃষ্ট বীজের দূষণের মাত্রা বোঝায়। এটি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন উদ্ভিদের ধরন, বৃদ্ধি চক্রের সময়কাল, বীজের রঙ এবং আকৃতি, বীজের সজীবতা, পোকামাকড় ও রোগ প্রতিরোধ, ঠা-া ঋতুর উৎপাদনশীলতা, উচ্চ বীজের ফলন, অবীজ বিচ্ছিন্নকরণ এবং নির্দিষ্ট শস্য বা বীজের গুণাবলী নিয়ে গঠিত হয়ে জেনেটিক বিশুদ্ধতা নির্ধারণ করতে পারে এবং যে বীজ স্থানীয় অবস্থা বা পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নিতে পারে এবং প্রায়ই কৃষক এবং বাজারের চাহিদাকে প্রভাবিত করে। সময় ও জেনেটিক কিছু কারণে বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বীজের বিশুদ্ধতা নষ্ট হতে পারে, এটিকে অবনতি বলা হয়, উন্নয়নশীল তারতম্যের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট শস্যের জাত, যান্ত্রিক মিশ্রণ, প্রাকৃতিক ক্রসিং, জেনেটিক প্রবাহ, রোগের প্রভাব  যা জেনেটিক বা জীনের মিউটেশনের মাধ্যমে ঘটে থাকে। বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা বেশির ভাগই যৌনভাবে প্রবাহিত হয়ে উদ্ভিদের সাথে যুক্ত; স্বপরাগায়িত ফসলের চেয়ে ক্রস-পরাগায়নে এটি আরও গুরুতর। হাইব্রিড বীজ উৎপাদনের সাফল্য পিতামাতার জীনগত জেনেটিক বিশুদ্ধতার উপর নির্ভরশীল। আউটক্রসিং এবং বীজের অসাবধানতাবশত: মিশ্রণ উভয়ই বীজের গুণগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অতএব, জেনেটিক বিশুদ্ধতা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরীক্ষাগুলো বীজ উৎপাদনকারী এবং উদ্ভিদ প্রজননকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা সংরক্ষণ করতে হলে শুরুতেই প্রথমেই জানতে হবে কিভাবে বীজ তৈরি হয়। একটি গাছের বংশগত প্রক্রিয়াটি  তৈরি হয় তার ফুলে, আর ফুলের কয়েকটি অংশ হলো ফুলের বৃতি, দলম-ল, পুংকেশর ও স্ত্রীকেশর। প্রতিটি স্ত্রীকেশরের তিনটি অংশ থাকে তা হলো গর্ভাশয়, গর্ভদ- এবং গর্ভমু-। গর্ভাশয়ে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়।
এই ডিম্বক নিষিক্ত হয়েই বীজ তৈরি হয়। আর নিষেক প্রক্রিয়াটি ঘটে যখন ফুলের গর্ভমু-ে পরাগরেণু পতিত হয়। পরাগরেণু উদ্দিপিত হয়ে তা অঙ্কুরোদগমণের মাধ্যমে গর্ভদ-ের ওপরে পরাগনালী তৈরি করে এবং পরাগনালীতে দু’টি পুং গ্যামেট তৈরি হয়। তা গর্ভমু- ভেদ করে একটি নালী তৈরি করে এই নালীর মাধ্যমে পুং গ্যামেটদ্বয়ের একটি গিয়ে ডিম্বকের সঙ্গে মিলিত হয় আর অন্যটি গিয়ে যুক্ত হয় দু’টি নিউক্লিয়াসের সাথে, যা পরবর্তীতে ‘শস্য’ (বহফড়ংঢ়বৎস) গঠন করে। এরপর ডিম্বক কোষটি  নিষিক্ত  হতে থাকে এবং ক্রোমোজোম বিভাজিত হয় ও রূপান্তর ঘটে তৈরি হয় বীজের ভ্রুণ। পরাগনালীর অন্য তিনটি নিউক্লিয়াস মিলে যে একটি কোষ তৈরি করে তা বিভাজিত হতে হতে রূপান্তরিত হয়ে তৈরি হয় সস্য বা এন্ডোস্পার্মে। বীজের প্রাচীর তৈরি হয় বাহিরের অংশে। সবগুলো একসাথে তৈরি হয়  একটি বীজ।  উত্তম প্যারেন্টের মধ্যে মিলনের  মধ্য দিয়ে যে বীজ তৈরি হয়েছে তাইই হলো মানসম্পন্ন বিশুদ্ধ বীজের প্রাথমিক স্তর।
বীজের দূষণ প্রক্রিয়া
ভালো বীজ মানেই অধিক ফলনশীলতা এটা আমরা জানি। আবার এটাও আমরা মনে করি বিশুদ্ধ বীজ মানেই হলো উত্তম বীজ, কিন্তু এটা আদৌ ঠিক নয়। যে বীজের উত্তম কৌলিক মানসম্পন্নতা নেই, সেই বীজ মানসম্পন্ন বীজ নয়। যে বীজের কৌলিতাত্ত্বিকভাবে বিশুদ্ধতা রয়েছে সেই বীজই  হলো বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন বীজ। এছাড়াও কিছু পরিবেশের ফ্যাক্টর যেমন বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা, আর্দ্রতা, কৌলিক বিশুদ্ধতা ও ভাইয়াবিলিটি এসব যদি পুরোপুরি থাকে, তবে তাকে মানসম্পন্ন বীজ বলা হয়। পর-পরাগায়নের মাধ্যমে বীজের কৌলিক বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে, পর-পরাগী ফসলে সহজেই বাতাস, পোকামাকড় বা অন্যান্য বাহকের মাধমে পরাগরেণু অন্য প্রজাতির ফুলের গর্ভমু-ে পতিত হয়ে কৌলিক গঠনকে পরিবর্তন করে দেয়, ফলে বীজের কৌলিক বিশুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে। পরাগরেণু একটি উদ্ভিদের জীনগত সকল বৈশিষ্ট্য বহন করে। যখন একই জাতের ভিন্ন ভিন্ন জার্মপ্লাজম থাকে, তখন এক একটি জার্মপ্লাজমের কৌলিক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় এর অর্থ হলো একই প্রজাতির  কোনো একটি জাতের ফলের সংখ্যা বা অন্য কোনো গুণগত বৈশিষ্ট্যের জীন অন্যটির থেকে বেশি (উড়সরহধহঃ) বা কম (জবপবংংরাব) হতে পারে, এটা হলো এক একটি জার্মপ্লাজমের জীনগত বৈশিষ্ট্য। অন্য প্রজাতির অনাকাক্সিক্ষত জীনগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পরাগরেণু গর্ভমু-ে পতিত হলে সেই ভিন্ন পরাগরেণুর সকল কৌলিক উপকরণ দুটি পুংগ্যামেট কোষের (পুংগ্যামেট কোষে যে ক্রোমোজোম সংখ্যা বিদ্যমান থাকে তার অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে) মাধ্যমে এই পুংগ্যামেট কোষ অন্য প্রজাতির গর্ভাশয়ের ডিম্বককে নিষিক্ত করে ও কৌলিক বিশুদ্ধতাতে মিউটেশন ঘটিয়ে বীজের দূষণ ঘটায়।
যে সকল উপায়ে বীজকে বিশুদ্ধ করা হয় তা নিম্নরূপ:
১। কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা : বীজ যে জাতের সে জাতের নির্দিষ্ট গুণাবলি অবশ্যই থাকতে হবে, ২। মিশ্রণ মুক্ততা ভালো বীজ অবশ্যই মিশ্রণ মুক্ত থাকতে হবে। অর্থাৎ ভালো বীজে জড় পদার্থ, আগাছার বীজ এমনকি অন্য ফসলের বীজ থাকাও চলবে না এবং ৩। রোগ ও কীটপতঙ্গমুক্ত : বিশুদ্ধ ভালো বীজ অবশ্যই রোগজীবাণু মুক্ত ও কীটপতঙ্গ মুক্ত হতে হবে।
এখানে কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা কিভাবে করা হয় সে সম্পর্ক কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন।
কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা : কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা হলো অবাঞ্ছিত জেনেটিক জাত বা প্রজাতির দ্বারা সৃষ্ট বীজের দূষণের মাত্রা বোঝায়। যেমন-হাইব্রিড বীজ উৎপাদনের সাফল্য প্যারেন্টের জেনেটিক বিশুদ্ধতার উপর নির্ভরশীল। বীজের আউটক্রসিংও অন্যান্য অসাবধানতাবশত মিশ্রণ উভয়ই বীজের গুণগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তাই জেনেটিক বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা বীজ উৎপাদনকারী এবং উদ্ভিদ প্রজননকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জিনগত বিশুদ্ধতা মান নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো বীজের গুণগত মান আর তা নির্ণীত হয় বীজের ভালো অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, বিশুদ্ধতা, সজীবতা এবং বীজের স্বাস্থ্য। বীজ শিল্প বৃদ্ধির সাথে সাথে জেনেটিক বিশুদ্ধতা পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত কৌশলগুলিতে পরিমার্জন। জেনেটিক বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত বীজের বিভিন্ন বাহ্যিক আকারগত বা শরীরবৃত্তিয় বৈশিষ্ট্য বা মরফোলজিকাল পরীক্ষা, রাসায়নিক, জৈব রাসায়নিক এবং জেনেটিক মার্কার পরীক্ষা যেমন-
শারীরবৃত্তীয় পরীক্ষা : এই পদ্ধতিতে যে পরীক্ষাগুলো করা হয় তা হলো- বীজের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের পরীক্ষা, চারা পরীক্ষা, গ্রিন হাউজে পরীক্ষা এবং গ্রো আউট টেস্ট (এঙঞ)
রাসায়নিক পরীক্ষা : পটাশিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড পরীক্ষা, সোডিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড পরীক্ষা, ফেরাস সালফেট রঙ পরীক্ষা,পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট পরীক্ষা, খঁমড়ষ’ং ংড়ষঁঃরড়হ পরীক্ষা, হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং ডিডিটি পরীক্ষা
বায়োকেমিক্যাল মার্কার বা জৈব রাসায়নিক পরীক্ষা : এখানে যতগুলো পরীক্ষা আছে তার মধ্যে বায়োকেমিক্যাল মার্কার বা জৈব রাসায়নিক পরীক্ষা হলো বীজের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পরীক্ষা। এখানে বীজের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ে যে সকল পরীক্ষা করা হয় তা হলো-ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি মলিকুলার মার্কার দিয়ে বীজের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোস্যাটেলাইট মার্কার দিয়ে বীজের মলিকুলার সিকুয়েন্সে বীজের বিশুদ্ধতা বা দূষণতা নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। যেমন ঝঝজ মার্কার অন্যান্য উঘঅ মার্কারগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পলিমরফিজম ও কো-ডোমিনেন্ট প্রদর্শন করে। অধিক পরিমাণ চড়ষুসড়ৎঢ়যরপ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঈড়হঃবহঃ (চওঈ) থাকার কারণে ঝঝজ মার্কার উঘঅ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং করতে মাইক্রোস্যাটেলাইট মলিকুলার মার্কার হিসাবে প্রয়োগ এবং উচ্চ দক্ষতা ও সরলতার কারণে ঝঝজ মার্কার গুলি বর্তমানে অনেক ফসলের বিশুদ্ধতা শনাক্তকরণের জন্য পছন্দের মলিকুলার মার্কার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আমরা জানি, যে দেশ যত উন্নত, সে দেশে ভালো বীজের ব্যবহারও তত বেশি। সার্কভুক্ত দেশেগুলোর  মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করছে। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের দিক থেকে আউশ মৌসুমে প্রায় ৬০ শতাংশ, আমনে ৩০ শতাংশ এবং বোরো মৌসুমে ১০০ শতাংশ ব্যবহার করে চাষিরা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফসল গম; এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বীজ মানসম্পন্ন। ভুট্টার ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ জমিতে আমদানিকৃত হাইব্রিড ভুট্টা বীজ ব্যবহার করা হয়। পাটের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করা হয়। আলু বীজের ১৩ শতাংশ মানসম্পন্ন প্রত্যয়িত বীজ ব্যবহার করে। সবজি বীজের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ জমিতে চাষিরা হাইব্রিড সবজি বীজ ব্যবহার করে। গবেষণায় দেখা গেছে একই ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র মানসম্পন্ন ভালো বীজ ব্যবহারের ফলে ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত  ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। অপরদিকে বীজের মান যদি ভালো না হয় তাহলে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অন্যান্য সবগুলোর  ব্যবহার ও আন্তঃপরিচর্যা করলেও কাক্সিক্ষত ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে, ফলে ভবিষৎ এ দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ভালো বীজের অভাবে কাক্সিক্ষত উৎপাদন বাড়ছে না। বছরের পর বছর ধরে কৃষক ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর মোট ১৩ লাখ টন বিভিন্ন ফসলের বীজের চাহিদা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলো বীজ সরবরাহ করলেও বীজের চাহিদার অধিকাংশই প্রথাগত পদ্ধতিতে সংরক্ষিত বীজ  সরবরাহ করছে প্রান্তিক চাষিরা। এসব বীজের মান ঠিক থাকছে না, বিধায়  ফলন কম হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জাত। অন্যদিকে বাজারে মানসম্পন্ন বীজের চাহিদার এ বিশাল শূন্যতা পূরণে এ সময়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিছু বীজ তারা দেশে উৎপাদন করছে, কিছু বীজ আমদানি করা হচ্ছে। তবে প্রান্তিক চাষিদের বীজই দেশের চাহিদার প্রায় ৩৮ শতাংশ পূরণ হচ্ছে। যা মোটেও বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন বীজ নয়। ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আমাদের কৃষি জমির পরিমাণ প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলাতে হলে ভালো বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার, শস্যবিন্যাস ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ভালো বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে ব্যাপকভাবে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ^রদী, পাবনা মোবাইল : ০১৬৮৮৬৬৬৭০৮, ইমেইল: kuahamed70@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon